সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও:

 চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী শিয়াপাড়া সড়কের ভাঙ্গাচোরা ব্রীজ দিয়ে হাজারো মানুষসহ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার করছে ছোট বড় যানবাহন। যার কারনে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অনেক কাজ সংস্কার ও নিমার্ণ করা হয়েছে ইউনিয়ন ঘিরে। এরই অংশ হিসাবে শিয়াপাড়া এলাকার চলাচলের একমাত্র ব্রিজ। ব্রীজ নির্মানের নামে কালক্ষেপন করায় চরম অবহেলা ও অনাদরে পড়ে রয়েছে ভাঙ্গাচোরা ব্রীজ। যে ব্রীজ এলাকাবাসির জন্য জনজীবনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে গেল বছর পার্শ্ববর্তী ছড়াপাড়ার ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার। ঠিক তেমনি ভাবেই প্রয়োাজনবোধ করছে ইউনিয়নের শিয়াপাড়া সড়কের ব্রীজ। বর্তমানে সড়কে ছড়ার উপরে ভাঙ্গাচোরা ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন ছোট খাটো বিভিন্ন যানবাহনসহ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধরা।

সরজমিন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ইউনিয়নের শিয়াপাড়া সড়কের এ ব্রীজটি অতিক্রম করে জনসাধারণ খুটাখালী বাজারে যাওয়ার জন্য সল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে বেশ সহজতর ও কম সময় লাগে। তাছাড়া সদরের ইসলামপুর নতুন অফিস বাজারে যেতেও এক সহজলভ্য একটি যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ওই স্থানের ব্রীজটি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্টান ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই নিকটবর্তী। তাদের দাবি ওই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতে ব্রীজটি সম্পন্ন হলে কষ্ট লাঘব হবে। এছাড়াও অর্ধডজনাধিক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে বেশ হয়রানি ও কষ্ট লাগব হবে বলে তারা দাবী করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রামের মধ্যমনি স্থান হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওই এলাকার বাসিন্দারা শুধু একটি ব্রিজের অভাব রয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের প্রাণের দাবি বর্তমান উন্নয়নশীল আ’লীগ সরকারের কাছে যেনো এলাকাবাসির কষ্ট লাঘবে সদয় হওয়ার আহবান জানান। এলাকাবাসি একটি ব্রিজের অভাবে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে হচ্ছে বলে জানান ওই এলাকার হাজারো মানুষ। তারা আরো জানান, ছড়ার উপরে চলাচলের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় নড়বড়ে ব্রীজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দীন বলেন, নিঃসন্দেহে ওই স্থানে ব্রিজটি জনগুরুত্বপূর্ণ এবং দ্রুত ব্রিজটি সম্পন্ন হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হয়ে স্বস্থি পাবে হাজারো মানুষ।

এদিকে ব্রিজ পারাপারের সময় কথা হয় আমান উদ্দিন নামের এক শিক্ষকের সাথে। তিনি বলেন দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম। উপরন্তু যে সকল জনপ্রতিনিধিরা আসেন তারা ব্রিজটি নির্বাচনী বৈতরনীতে মুলা বানিয়ে রেখেছে। একটি ব্রিজের বুক ভরা আশায়তো ছিলাম। জানি না ব্রিজ হবে কিনা। দুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দ্রুত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।